পটুয়াখালীতে ঝড়ে ঘর ও গাছপালা বিধ্বস্ত

ঝড়ে বসতঘর ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। ঢেউখালী গ্রাম, পটুয়াখালী, ৫ এপ্রিল। ছবি: প্রথম আলো
ঝড়ে বসতঘর ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। ঢেউখালী গ্রাম, পটুয়াখালী, ৫ এপ্রিল। ছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালীতে প্রবল ঝড়ে বসতঘর ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে এই ঝড়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের ঢেউখালী গ্রামে বেশ কিছু বসতঘর ও অসংখ্য গাছপালা বিধ্বস্ত হয়।

গ্রামের লোকজন জানান, বেলা দুইটার দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে ঢেউখালী গ্রামের উত্তম দাস, নাসির হাওলাদারসহ বেশ কিছু লোকের ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে গ্রামের অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অনেক গাছপালা।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে এলাকার ৭টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ১৩টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে।

বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যুতের খুঁটির ওপর গাছ ভেঙে পড়ে আছে। নাসির হাওলাদারের বসতঘরটি দুমড়েমুচড়ে পড়ে আছে একটি কৃষিখেতের ওপর। পাশের উত্তম ধুপীর ঘরটিরও একই অবস্থা। বাড়ির লোকজন ঘরের টিন-কাঠ খুঁজে খুঁজে সংগ্রহ করছেন। উত্তমের স্ত্রী শিল্পী রানী ছোট চার সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসে কাঁদছেন আর বলছেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ঘর বানিয়েছিলেন, সেই ঘর ঝড়ে শেষ হয়ে গেছে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী বশির আহমেদ হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কালবৈশাখীটির স্থায়ী ছিল প্রায় আট মিনিট। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার।’

পটুয়াখালীর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফা জান্নাতী প্রথম আলোকে বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা আবেদন করলে উপজেলা প্রশাসন থেকে সহায়তায় করা যাবে।