কবরে নামানোর আগে জানা গেল পরিচয়

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের আগমুহূর্তে জানা গেল লাশটি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) নোয়াখালীর সোনাপুর কার্যালয়ের নিখোঁজ অফিস সহায়ক ইউছুফ মিয়ার (৫০)। আজ রোববার সকালে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তা এলাকার সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানা-পুলিশ।

বিকেলে চৌমুহনী পৌর কবরস্থানে অজ্ঞাত লাশ হিসেবে দাফনের আগমুহূর্তে জানা যায় তাঁর পরিচয়। তাঁর গ্রামের বাড়ি জেলার চাটখিল উপজেলায় নোয়াখোলা এলাকায়।

মৃত ইউছুফের ছেলে মাহমুদুল হাছান জানান, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে রূপালী ব্যাংক মাইজদী কোর্ট শাখা থেকে ২০ হাজার টাকা তুলে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা বাবা। ওই টাকা নিয়ে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তার পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খুঁজেও তাঁর কোনো খোঁজ পাননি। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার বিকেলে সুধারাম মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
মাহমুদুল হাছান আরও জানান, আজ দুপুরে স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে বেগমগঞ্জ থানায় একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে লাশের ছবি দেখে তাঁর বাবা বলে মনে হয়। পরে তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা বেগমগঞ্জ থানায় গিয়ে তাঁর লাশের ছবি দেখে শনাক্ত করেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সকালে চৌমুহনী চৌরাস্তা এলাকার সড়কের পাশে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
ওসি জানান, চৌরাস্তা এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টসহ লোকজন ওই ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থায় ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। তাই মৃত্যুর পর পরিচয় না পাওয়ায় তাঁরা ভবঘুরে মানসিক রোগী মনে করে বেওয়ারিশ হিসেবে ওই ব্যক্তির লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত নেন। লাশ কবরে নামানোরও প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তখনই তাঁর পরিচয় জানা যায়।
ওসি হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী আরও জানান, পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর মৃত ব্যক্তির প্যান্টের গোপন পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় শরীরের কোথাও কোনো জখম পাওয়া যায়নি। এখন লাশ আবার থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখন পরিবার চাইলে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হবে এবং অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।