শেরপুরে করোনায় আক্রান্ত দুজনকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর

শেরপুরে করোনা আক্রান্ত দুই রোগীকে জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই দুই নারীকে উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশের বিশেষ তত্ত্বাবধানে অ্যাম্বুলেন্সে করে সদর হাসপাতালে আনা হয়।

দুজনের মধ্যে একজন শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের এক গৃহবধূ (৩২)। অপরজন শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মচারী (৫০)। দুই নারীই শেরপুর জেলায় করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগী।

রোববার রাতেই শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলার সাতানী শ্রীবরদী এলাকার ২০টি বাড়ি, একটি স্টুডিও ও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের মধ্যবয়ড়া গ্রাম ও গৃহবধূর বাবার বাড়ি লকডাউন করা হয়। অবশ্য, আজ সোমবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লকডাউন স্থগিত করে সীমিত পরিসরে চিকিৎসা সেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ওই দুই রোগীর পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শেরপুরের সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুন, শ্রীবরদীর ইউএনও নিলুফা আক্তার এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনায় আক্রান্ত ওই দুই নারীর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত ওই গৃহবধূ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী ৩-৪ দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছিলেন। করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে গত শনিবার তাঁদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর রোববার সকালে পরীক্ষার জন্য তা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি (অণুজীববিজ্ঞান) বিভাগে পাঠানো হয়। রোববার সন্ধ্যায় পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়। তাতে ওই দুই নারীর শরীরে করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ বলে নিশ্চিত হয়।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোবারক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সামাজিক সংস্পর্শ থেকে ওই গৃহবধূ করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই নারী কর্মীর আক্রান্তের কারণ জানা যায়নি।