চট্টগ্রামে সড়কে দুজনের মৃত্যু

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় এমনিতেই আয় কমে গেছে। তাই একটু বাড়তি আয়ের আশায় সকাল সকাল বাসা থেকে বের হয়েছিলেন রিকশাচালক প্রফুল্ল দাশ (৫০)। আবার পোশাক কারখানার কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের (৪৫) ছিল অফিস যাওয়ার তাড়া। কিন্তু দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে রাস্তায়।

আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম নগরে চকবাজারের অলি খাঁ মসজিদ মোড়ে রিকশাচালক প্রফুল্ল দাশের মৃত্যু হয়। এর থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে টাইগারপাস এলাকায় মৃত্যু হয় সেলিমের। হৃদ্‌রোগের আক্রান্ত হয়ে তাঁরা মারা যান বলে পুলিশ জানায়।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন প্রফুল্ল। যাত্রীর আশায় অলি খাঁ মসজিদ মোড়ে রিকশার ওপর অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে যান। পরে পুলিশ তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া। সেখানে তাঁকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা চা বাগান এলাকার বাসিন্দা প্রফুল্ল নগরের ষোলোশহরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। নিহতের স্ত্রী জবা দাশ হাসপাতালে এসে স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করেন।

খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নগরের টাইগারপাসে সহকর্মীসহ অফিসের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেলিম উদ্দিন। কিন্তু হঠাৎ করে রাস্তার ওপর পড়ে যান তিনি। করোনা আক্রান্ত সন্দেহ করে স্থানীয়রা এমনকি সহকর্মীরাও প্রথমে তাঁর কাছে যাননি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ততক্ষণে তাঁর আত্মীয়স্বজনও অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সেখানে আসেন। তারা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে স্ট্রোক করে তারা মারা যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এরপর তাঁর লাশ গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মাদার্শা ইউনিয়নের রহমত আলীর ছেলে সেলিম উদ্দিন নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার জিরাত শার্ট লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার স্টোর ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।