অটোরিকশা চালিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে নিলেন মেয়র

নাটোর
নাটোর

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দেড় বছরের শিশুকে হাসপাতালে নিতে ভরদুপুরে রাস্তার পাশে পরিবহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন উদ্বিগ্ন এক বাবা। রাস্তায় দু–একটি পরিবহন দেখা গেলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে অসুস্থ ছেলেসন্তানকে নিয়ে গাড়িতে উঠতে পারছিলেন না তিনি। নিরুপায় হয়ে শেষ পর্যন্ত ওই বাবা ফোন করেন মেয়রকে।

এ সময় মেয়রের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন না। ছিল না হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স। অগত্যা মেয়র নিজেই পৌরসভা পরিচালিত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ‘চলো’ চালিয়ে চলে আসেন শিশুটির কাছে। পরে বাবা-ছেলেকে পৌঁছে দেন হাসপাতালে। শুরু হয় শিশুটির চিকিৎসা। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে নাটোরের সিংড়া পৌর শহরে।


শিশুটির বাবা কাউছার আহমেদ বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সেনা-পুলিশ টহল জোরদার করায় শহর ছিল প্রায় জনমানবশূন্য। অবশেষে এক প্রতিবেশীর পরামর্শে তিনি সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসকে ফোন দিয়ে সমস্যার কথা জানান। ১০ মিনিট পর তিনি নিজেই একটি অটোরিকশা চালিয়ে তাঁদের সামনে হাজির হন। পরে তিনি তাঁদের হাসপাতালে পৌঁছে দেন। মেয়রের এই মানবিকতার কথা তিনি কখনো ভুলতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।

মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করতে জনগণকে বাড়িতে থেকে প্রয়োজনীয় সেবা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই কার্যক্রম চালু রাখতে কিছু বিশেষায়িত ইজিবাইক চালু করা হয়েছে। শিশু সিয়ামের সমস্যাটি ফোনে শোনার পর তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু মধ্য দুপুরে কোনো চালক ছিলেন না। তাই তিনি নিজেই অটোরিকশা নিয়ে শিশুটিকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে দেন। এটা তিনি দায়িত্ব মনে করেই করেছেন। ধন্যবাদ পাওয়ার জন্য করেননি।