যুবলীগ নেতার ডিজিটাল আইনের মামলায় বিএনপির নেতা কারাগারে

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জেলা বিএনপির নেতা আলী আজম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আলী আজম চৌধুরী জেলার নাসিরনগরের বাসিন্দা। তিনি জেলা বিএনপির গণবিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের সদস্য।

সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সদর থানায় মামলাটি করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ-ছয় দিন আগে জেলা বিএনপির গণবিষয়ক সম্পাদক আলী আজম চৌধুরী ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য লিখেছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পেয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ সোমবার সকালে আলী আজম চৌধুরীকে জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আলী আজম চৌধুরীর পরিবারের দাবি, আলী আজম চৌধুরী ফেসবুকে আপত্তিকর কিছু লিখেননি। তিনি আইন পেশায় জড়িত ও উচ্চ আদালতের একজন নিবন্ধিত আইনজীবী। তিনি জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর কিছু লেখার মানসিকতা লালন করেন না।

জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে কারও একটি পোস্ট আলী আজম ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর কিছু ছিল না বলে জানতে পেরেছি। এর বাইরে আমি বেশি কিছু জানি না।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ধর্মজিৎ সিনহা প্রথম আলোকে বলেন, ফেসবুকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ও ইসলামিক একটি অডিওর শব্দ পরিবর্তন করে বিএনপির নেতা আলী আজম চৌধুরী পোস্ট করেছিলেন। সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতির ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।