প্রণোদনা প্যাকেজের একাংশ পর্যটনশিল্পে বরাদ্দের দাবি টিইএবির

করোনাভাইরাসের বিস্তারে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায়  সরকারের ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের একটি অংশ পর্যটনশিল্পের জন্য আলাদা করার দাবি জানিয়েছে ট্যুরিজম এডুকেটরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (টিইএবি)৷

গতকাল সোমবার টিইএবির সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ রাশিদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের কাছে এই দাবি জানান ৷ সৈয়দ রাশিদুল হাসান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আর বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান৷

টিইএবি বলেছে,  বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভয়াবহ মন্দার সৃষ্টি করেছে৷ বাংলাদেশের শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোও আজ করোনার আঘাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত৷  ট্যুরিজম (পর্যটন) বাংলাদেশের একটি প্রসারমাণ শিল্প৷ অন্যান্য সব সেবা ও শিল্পখাতের মতো এই শিল্পও করোনাভাইরাসের প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত৷ কারও কারও মতে এখন পর্যন্ত ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি সেক্টরে সার্বিক ক্ষতির পরিমাণ আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি টাকার ওপর৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের একটি অংশ পর্যটনশিল্পের জন্য আলাদা করার প্রয়োজন রয়েছে৷

সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের মধ্যেই পর্যটনশিল্পে বরাদ্দ রাখা যেতে পারে বলে মনে করে টিইএবি৷  এক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ, স্টার হোটেল ও বড় রিসোর্টগুলোকে বড় শিল্প, মাঝারি ও ছোট হোটেল এবং বড় রেস্তোরাঁগুলোকে মাঝারি শিল্প এবং ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে৷ বিটিবি এবং বিপিসির তত্ত্বাবধানে শিল্পগুলোর স্কেল নির্ধারণ করা যেতে পারে৷ ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে চলতি মূলধন বাবদ ঋণ দেবে। এখানে কোনোভাবেই ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি সেক্টরের কোনো সমিতি, ফেডারেশন বা প্রতিষ্ঠানকে জড়িত করা চলবে না৷ সুবিধাভোগকারীদের তালিকা বিটিবি এবং বিপিসি থেকেই করতে হবে।

টিইএবির প্রত্যাশা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে, তার সঠিক ব্যবহার হলে দেশের শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলো আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে৷ বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে৷