খুলনায় বৃদ্ধার মৃত্যু, পরিবার হোম কোয়ারেন্টিনে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার রূপসা উপজেলার দেবীপুর গ্রামে অসুস্থ হয়ে সালেহা বেগম নামের এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। সোমবার রাত দেড়টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ষাটোর্ধ্ব ওই নারী। কিছুদিন আগে তিনি জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে ঢাকা থেকে খুলনায় ফেরেন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, কিডনি বিকল হয়ে মারা গেছেন তিনি।

সালেহা বেগম ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে যান রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন আক্তার। তিনি ওই বাড়ির সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বাড়ির সামনে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই বৃদ্ধার লাশ স্বাভাবিক নিয়মেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত ছিলেন সালেহা বেগম। ওই বৃদ্ধা সাত দিন আগে তাঁর নাতির সঙ্গে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। তিনি তথ্য গোপন করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নেন। পরে অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে সোমবার দুপুরের দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন স্বজনেরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থা সোমবার রাতে মারা যান তিনি।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে গিয়ে ওই বৃদ্ধা ও তাঁর নাতির নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয়েছে। তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলেই প্রকৃত ঘটনা বোঝা যাবে। ওই বৃদ্ধা আগ থেকেই ডায়াবেটিক ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৩ এ ভর্তি হয়েছিলেন সালেহা বেগম। ওই ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার অনল রায় বলেন, সালেহা বেগম কিছুদিন আগে স্ট্রোক করেছিলেন। এ ছাড়া তাঁর কিডনি কাজ করছিল না। কিডনি ও হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি। তাঁর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল না।

রূপসার ইউএনও নাসরিন আক্তার বলেন, যারা ওই নারীর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের তালিকা তৈরি করে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।