খুলনায় করোনা ল্যাব চালু, প্রথম দিনে ১২টি নমুনা পরীক্ষা

খুলনা
খুলনা

খুলনা মেডিকেল কলেজে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস পরীক্ষা কার্যক্রম। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কলেজের তৃতীয় তলায় অবস্থিত মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের গবেষণাগারে পরীক্ষার পিসিআর (পলিমিয়ার্স চেইন রিঅ্যাকশন) যন্ত্রটি উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।

পিসিআর যন্ত্রটি উদ্বোধনের সময় সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, এখন থেকে অঞ্চলের মানুষের করোনাভাইরাস শনাক্ত ও এই রোগের চিকিৎসা সহজে পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হলো। দেশের এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন তা মেনে চলতে সবার প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

প্রথম দিন পরীক্ষার জন্য খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ১২টি নমুনা এই গবেষণাগারে পরীক্ষা হচ্ছে। চার ঘণ্টা পর ফলাফল জানা যাবে। তবে তা প্রতিবেদন আকারে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে ঘোষণা করা হবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য নমুনা সংগ্রহ করে এই গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রথম দিন ১২টি নমুনা দিয়ে কার্যক্রম পরীক্ষা করা হলো। এর আগে সোমবার চারটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে সেটা ছিল পরীক্ষামূলক। বুধবার থেকে পুরোদমে নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম চলবে।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ বলেন, এই গবেষণাগারে এক সঙ্গে ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করে যাবে। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে পরীক্ষা করা হবে। তবে কেউ চাইলেই নিজে নিজে এসে পরীক্ষা করাতে পারবেন না। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা সদর হাসপাতাল ও খুলনার ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলাদা ফ্লু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপসর্গ দেখে যাদের পরীক্ষার প্রয়োজন, শুধুমাত্র তাঁদেরই নমুনা পাঠাবেন।

পিসিআর যন্ত্রে নমুনা দেওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে জানিয়ে উপাধ্যক্ষ বলেন, তবে এখান থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে না। পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য দ্রুত সময়ে ঢাকার আইইডিসিআর-এ পাঠানো হবে। সেখান থেকে নিশ্চিত হওয়ার পরই ফলাফল জানানো হবে। পরীক্ষায় যাঁদের করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ আসবে, তাঁদের খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক রাশেদা সুলতানা, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল আহাদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, সিভিল সার্জন সুজাত আহম্মেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।