করোনা মোকাবিলায় ঐক্যফ্রন্টের পাঁচ দফা প্রস্তাব

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

করোনা সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার দলের শীর্ষ নেতারা এক বিবৃতিতে এসব প্রস্তাব দেন।

বিবৃতি দেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্যাহ চৌধুরী এবং বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বেপারী।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তরপ্রধান জাহাঙ্গীর আলমের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা বৈশ্বিক সংকটে পরিণত হয়েছে। এই সংকট এখন বাংলাদেশেও বিস্তার লাভ করছে। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং ব্যাপক ভিত্তিতে করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম সারা দেশে বিস্তৃত করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

গার্মেন্টস সেক্টর খোলা এবং আবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেন, ‘শাটডাউনের কার্যক্রমকে চূড়ান্তভাবে বিপর্যস্ত করায় জনগণের আস্থা বিনষ্ট হয়েছে।’ এই জোট আরও জানায়, সংকীর্ণ ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এ দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৫ দফা প্রস্তাবে বলা হয়, দল–মতনির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে ‘জাতীয় ঐকমত্য’ গড়ে তোলা, স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সর্বদলীয় টাস্কফোর্স গঠন এবং জাতীয়-আঞ্চলিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ, কর্মহীন শ্রমিক, নারী পোশাকশ্রমিক, দিনমজুর, প্রান্তিক কৃষক, প্রতিবন্ধী, ছিন্নমূল শিশুসহ অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য অবিলম্বে খাদ্যসামগ্রীর ন্যায্যমূল্যে রেশনিং চালু করা এবং করোনাভাইরাস পরবর্তী আর্থসামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘আপত্কালীন অর্থনৈতিক কাউন্সিল’ গঠন করা।