বেনাপোল দিয়ে ফিরলেন আরও ৪৭ জন

যশোর
যশোর

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আজ মঙ্গলবার ভারত থেকে আরও ৪৭ জন বাংলাদেশে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৩ জনকে বেনাপোল পৌর কমিউনিটি সেন্টারে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বাকি চারজনের সরকারি পাসপোর্ট থাকায় তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।

এ নিয়ে গত দুই দিনে ৯০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হলো। বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাসপোর্টের মাধ্যমে যেসব যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন, তাঁদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে ছাড়া হবে। গতকাল সোমবার থেকে বেনাপোলে এ ধরনের কোয়ারেন্টিনে রাখার কাজ শুরু হয়েছে।

বেনাপোল পৌরসভা সূত্র জানায়, ভারত থেকে ফেরা বাংলাদেশি যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য বেনাপোল পৌর এলাকায় তিনটি কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পৌর কমিউনিটি সেন্টার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক টার্মিনাল ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাস টার্মিনাল ভবনে এই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র খোলা হয়। তিনটি কেন্দ্রে অন্তত এক হাজার মানুষের ১৪ দিন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় এলাকায় কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র না করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার বিকেলে ট্রাক টার্মিনাল এলাকার বাইপাস সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিক্ষোভ করেন।

এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, স্থানীয় লোকজন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা থেকেই প্রথম দিন বিক্ষোভ করেন। পরে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে শান্ত করা হয়েছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক ইউসুফ আলী বলেন, গত দুই দিনে বেনাপোল দিয়ে ১০১ জন দেশে প্রবেশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৯০ জনকে বেনাপোল কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। অন্যদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

বেনাপোলে কোয়ারেন্টিনে থাকা যাত্রীদের শারীরিক চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক তিনজনের মেডিকেল দল রাখা হয়েছে। কারও মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ ধরা পড়লে তাৎক্ষণিক তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হবে।