বিয়ের অনুষ্ঠানে কুপিয়ে ও গুলি করে বরকে হত্যা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে বরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়–সংলগ্ন একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই বরের নাম মো. মাহফুজুর রহমান ওরফে ফিরোজ (৩০)। তিনি উপজেলার হাজীপুর গ্রামের সেরাজুল হকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, অস্ত্র, মোটরসাইকেল চুরি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের ১১টি মামলা রয়েছে। তিনি পলাতক আসামি। মাহফুজ মঙ্গলবার দুপুরে বর সেজে একই উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় বিয়ে করতে যান। বর ও বরযাত্রীদের খাবার শেষে বিয়ে পড়ানো হয়। এর কিছুক্ষণ পরে ১৪-১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বিয়েবাড়িতে হামলা চালায়। তারা বর মাহফুজকে ঘেরাও করে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং একপর্যায়ে কয়েকটি গুলি করে। এরপর ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। এতে গুরুতর আহত হন মাহফুজ। পরে তাঁকে উদ্ধার করে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী শহরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পলাতক আসামি মাহফুজুর রহমান খুন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আসামি মাহফুজের বিয়ের খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য বিকেলে থানা-পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। দলটি বিয়েবাড়িতে হাজির হওয়ার আগেই খবর পায় মাহফুজ খুন হয়েছেন। পরে হাসপাতাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওসি হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী বলেন, বেগমগঞ্জের দুটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। একটি হলো সুমন বাহিনী, অপরটি সম্রাট বাহিনী। ‘সুমন বাহিনীর’ প্রধান সুমনের প্রধান সহযোগী ছিলেন মাহফুজ। কিছুদিন আগে খুন হওয়া সম্রাট বাহিনীর সদস্য হাছান হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি ছিলেন তিনি। দুই বাহিনীর বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।