সামাজিক দূরত্ব দুই রকমের চিত্র চুয়াডাঙ্গায়
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তৃতি ঠেকাতে সেনা টহলের কারণে চুয়াডাঙ্গায় শহরের প্রাণকেন্দ্র শহীদ হাসান চত্বরে মানুষ নিয়ম মেনে চললেও উল্টো চিত্র ছিল মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত কাঁচাবাজারে। সেখানে ছিল মানুষের ভিড়। শহরের ফেরিঘাট সড়কেও ছিল যানজট।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরের শহীদ হাসান চত্বরে সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থান নেয়। সেনাসদস্যরা এ সময় যানবাহন তল্লাশি এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহরে চলাচলকারী মানুষকে নিয়ম মেনে চলতে মাইকিং করা হয়। এর ব্যত্যয় হলে তারা কঠোর হবে বলে জানায়।
সেনাবাহিনীর তৎপরতায় শহরের এই প্রাণকেন্দ্রে মানুষ নিয়ম মেনে চলাচল করলেও ঠিক উল্টো চিত্র ছিল মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত কাঁচাবাজারে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাজারে ছিল মানুষের ভিড়। শহরের ফেরিঘাট সড়কে যানজট ছিল উল্লেখ করার মতো।
বড়বাজারের ওষুধের দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে রশি টানিয়ে এবং সাদা রঙের বৃত্ত এঁকে দিলেও ক্রেতাদের সেভাবে মানতে দেখা যায়নি। লাইনে দাঁড়িয়ে ওষুধ কিনলেও সামাজিক দূরত্ব মানেনি কেউ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল ওএমএসের দোকানগুলোতে। প্রতিটি দোকানের সামনে চাল কিনতে আসা মানুষ গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে ছিল। ওএমএসের দোকানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে তাদেরও হিমশিম খেতে হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, উল্লিখিত সমস্যা সমাধানে দুপুরে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নদীর ধারের কাঁচাবাজারকে কোনো খোলা মাঠে স্থানান্তর করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া ওএমএসের চাল বিতরণকে সহজ করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে মহল্লাভিত্তিক বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিতরণের আগেই নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষকে টোকেন দেওয়া এবং বাকিদেরকে সেখানে না দাঁড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।