বেনাপোল হয়ে ফিরলেন আরও ৫০ জন, সরকারি পাসপোর্টধারীদের বাড়িতে পাঠানোয় প্রশ্ন

যশোর
যশোর

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত আরও ৫০ জন দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ৪৯ জনকে ১৪ দিনের জন্য বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

বেনাপোলে তিনটি কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ভারত-ফেরত ব্যক্তিদের সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করে রাখা হচ্ছে। তবে কূটনৈতিক বা অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীদের ওই কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে না। তাঁদের নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।

জানতে চাইলে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন উদ্দীন বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বুধবার বিকেল চারটা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ৫০ বাংলাদেশি নাগরিক পাসপোর্টের মাধ্যমে বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৯ জনকে বেনাপোল কমিউনিটি সেন্টারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। বাকি একজনের অফিশিয়াল পাসপোর্ট আছে। তাই তাঁকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’

ইমিগ্রেশন ও চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানান, গত তিন দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১৫১ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ফেরত আসা নাগরিকদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। তবে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় কয়েকজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সরকারি পাসপোর্টধারী কয়েকজনকে ওই কেন্দ্রে না রেখে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আদৌ হোম কোয়ারেন্টিন মানছেন কি না সরকারিভাবে তার কোনো তদারকি নেই।

এক প্রশ্নের উত্তরে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলক কুমার মণ্ডল বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশের বলে আমরা কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র খুলেছি। সেই আদেশে বলা আছে, কূটনৈতিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীরা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। এ কারণে তাঁদের বেনাপোল কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হচ্ছে না।’

বেনাপোল পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে ফেরা বাংলাদেশি যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য বেনাপোল পৌর এলাকায় তিনটি কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পৌর কমিউনিটি সেন্টার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক-টার্মিনাল ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাসটার্মিনাল ভবনে সেগুলো খোলা হয়। তিনটি কেন্দ্রে অন্তত এক হাজার মানুষের ১৪ দিন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এক নম্বর কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র পৌর কমিউনিটি সেন্টারে প্রায় ৪০০ জনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এই কেন্দ্র পরিপূর্ণ হওয়ার পর দুই নম্বর কেন্দ্র ট্রাক টার্মিনালের নতুন ভবন ও পরে তিন নম্বর কেন্দ্র বাসটার্মিনাল ভবনে যাত্রীদের রাখা হবে।