সখীপুরের চারজনের কেউ করোনায় আক্রান্ত নন

টাঙ্গাইলের সখীপুরে আইসোলেশনে থাকা দুই নারী ও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা দুজনের কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। বুধবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।

বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমেইলে আইইডিসিআর থেকে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। তাতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান প্রথম আলোকে বলেন, বুধবারই ওই দুই নারীকে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তবে বাড়িতে গিয়ে আরও ১০দিন তাঁরা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।

উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার সকালে ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হাসান (১৮) ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁকে রাজধানীর ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন স্বজনেরা। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার জাহিদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর সেখান থেকে জাহিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। শ্বাসকষ্টের কথা শুনে ওই হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এর পরিবর্তে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার রাত ১০টায় সেখানে জাহিদকে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে তিনি মারা যান। লাশ গ্রামে নিতে বাধা দেন এলাকার লোকজন। পরে লাশ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। তা ছাড়া জাহিদের মা ও বোনকে সখীপুরে নিজ বাড়িতে ফিরতেও বাধা দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান বলেন, রোববার ওই দুই নারী এবং এলাকায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা আরও দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। হোম কোয়ারেন্টিনের দুজনের জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ছিল। তাঁদের মধ্যে একজন বিদেশ-ফেরত। বুধবার সন্ধ্যায় আইইডিসিআর থেকে চারজনেরই পরীক্ষার প্রতিবেদন এসেছে। তাতে নিশ্চিত হয়েছে, চারজনের কেউই করোনাভাইরাসের আক্রান্ত নন।

আইসোলেশনে থাকা ওই দুই নারীর বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ওই দুই নারী কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে অবস্থান করেছেন। সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাই ওই দুই নারীকে মোট ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে। তাঁরা আইসোলেশনে চার দিন কাটিয়েছেন। তাই বাড়িতে গিয়ে আরও ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।