বগুড়ায় শুরু হচ্ছে করোনা পরীক্ষা
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে শুরু হচ্ছে করোনাভাইরাস পরীক্ষা কার্যক্রম। কলেজের তিনতলায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের গবেষণাগারে এ পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) যন্ত্রটি আজ বুধবার রাতে বগুড়ায় এসে পৌঁছাতে পারে বলে কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল আলম জানিয়েছেন।
রেজাউল আলম বলেন, পিসিআর স্থাপন করতে দু-তিন দিন সময় লাগবে। আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি যেকোনো দিন থেকে বগুড়ায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। এখানে করোনা পরীক্ষা শুরু হলে বগুড়া ছাড়াও জয়পুরহাট, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জসহ এই অঞ্চলের মানুষের দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার এবং কোভিড–১৯ রোগের চিকিৎসা সহজে পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিক আমিন বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আইসোলেশন কেন্দ্র চালু হয়েছে। তবে আগে করোনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নমুনা পাঠিয়ে ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো। বগুড়ায় করোনার পরীক্ষা শুরু হলে এই বিড়ম্বনার অবসান হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, রোগীর উপসর্গ দেখে যাঁদের পরীক্ষা করা প্রয়োজন হবে, চিকিৎকদের পরামর্শে শুধু তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পরীক্ষাগারে পিসিআর যন্ত্রে পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষাসংক্রান্ত তথ্য দ্রুত সময়ে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হবে। পরীক্ষায় বগুড়ার যেসব রোগীর পজিটিভ আসবে, তাঁদের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
কলেজ প্রশাসন সূত্র জানায়, কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের তত্ত্বাবধানে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। তবে এ বিভাগে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। একজন করে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক, দুজন সহকারী অধ্যাপক, তিনজন প্রভাষকসহ সাতটি পদ রয়েছে এই বিভাগে। তবে অধ্যাপক ও দুজন সহকারী অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে। এমনকি করোনা পরীক্ষার জন্য এ বিভাগের পরীক্ষাগারে দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্টও নেই।
অবশ্য কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে জনবলসংকট থাকলেও সংযুক্ত শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে সমন্বয় করে পরীক্ষা কার্যক্রম চালানো হবে। এতে করোনা পরীক্ষার কোনো সমস্যা হবে না।