সীতাকুণ্ডে করোনায় আক্রান্ত একজন, বাড়ি-দোকান লকডাউন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর শহরের এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ছয়টি বাড়ি ও তিনটি দোকান লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় সীতাকুণ্ড থানা-পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যান। এ সময় বাড়িগুলো লকডাউন করার পাশাপাশি পুরো এলাকায় মাইকিং করে লোকজনকে সতর্ক করা হয়।

করোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জের একটি শাখার নিরাপত্তাপ্রহরী। বুধবার রাতে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

এর আগে বুধবার দিনের বেলা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ওই ব্যক্তিসহ পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করে। সেগুলো পাঠানো হয় ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে। পরীক্ষার প্রতিবেদনে একজনের করোনা ‘পজিটিভ’ আসে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ থেকে গত সোমবার সীতাকুণ্ডে ফেরেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। লক্ষণ শুনে মনে হয়েছিল, তিনি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। তাই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার রাতেই পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। তাতে নিশ্চিত হয়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।

ইউএনও মিল্টন রায় প্রথম আলোকে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিকে তাঁর বাসায় আলাদা ফ্ল্যাটে রেখেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বুধবার রাতে তাঁকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স যোগে চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা এলাকায় অবস্থিত জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক সুমন বণিক বলেন, ওই ব্যক্তির বাসাসহ আশপাশের ছয়টি বাড়ি ও তিনটি দোকান লকডাউন করেছেন তাঁরা। এসব বাসা-বাড়ির লোকজনকে বের হতে দেওয়া হবে না। জরুরি প্রয়োজনে ফোন দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে থানার হটলাইন নম্বর দেওয়া আছে।