অবমাননকার মন্তব্যের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে বসানো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’। ছবি: সংগৃহীত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে বসানো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’। ছবি: সংগৃহীত

এবার কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

ওই ছাত্রের নাম আশিকুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী। দল থেকেও তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

একই ধরনের অভিযোগে এর আগে মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পরেশ চন্দ্র বর্মণকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ছাত্র আশিকুলকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায়ও একই কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সার্বিকভাবে দুটি ঘটনার তদন্ত করে এই কমিটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে শিগগিরই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ছাত্র বহিষ্কারের অফিস আদেশ সূত্রে জানা গেছে, আশিকুল ইসলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তিনি নিজের ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে অবমাননাকর এবং মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের মন্তব্য জাতির পিতার জন্য অসম্মানজনক। বিষয়টি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছে।

আশিকুল ইসলামকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে ওই অফিস আদেশে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্র মৈত্রীর দপ্তর সম্পাদক আশিকুর রহমান এক বিবৃতি দিয়েছেন। এতে আশিকুলকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সাংগঠনিক সব কাজে আশিকুল নিষ্ক্রিয় ছিলেন। সক্রিয় না থাকায় আগেই তাঁকে বহিষ্কারের জন্য নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় তাঁকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আশিকুল ইসলামের বর্তমান অবস্থান কেউ বলতে পারছেন না। নানাভাবে চেষ্টা করেও তাঁর মুঠোফোন সংগ্রহ করা যায়নি। তাই অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।