জামালপুরে খাদ্যসামগ্রীর দাবিতে সড়ক অবরোধ, আশ্বাসে প্রত্যাহার

খাদ্যসামগ্রীর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছোনকান্দা, জামালপুর পৌরসভা, ৯ এপ্রিল। ছবি: প্রথম আলো
খাদ্যসামগ্রীর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছোনকান্দা, জামালপুর পৌরসভা, ৯ এপ্রিল। ছবি: প্রথম আলো

খাদ্যসামগ্রীর দাবিতে জামালপুর পৌরসভার ছোনকান্দা এলাকার লোকজন আজ বৃহস্পতিবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। পরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলমসহ প্রশাসনের লোকজন খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ লোকজন সড়ক থেকে সরে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ছোনকান্দা এলাকার প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষ জামালপুর-ময়মনসিংহ সড়কে অবস্থান নেন। পরে তাঁর বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে সড়কে শুয়ে ও বসে পড়েন। ক্রমেই বিক্ষুব্ধ লোকজনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। খবর পেয়ে জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম, জামালপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা বেগমসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে যান। এ সময় লোকজন খাদ্যসামগ্রীর জন্য বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

ছোনকান্দা এলাকার শুকুর মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, এই এলাকায় বেশির ভাগই নিম্নআয়ের মানুষ। সবাই দিন আনে দিন খায়। করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এখন সবকিছু বন্ধ। তাই গত ২৬ মার্চ থেকে প্রায় ৪০০ পরিবার কর্মহীন। ঘরে যা ছিল, সব খাবার শেষ। এই এলাকার লোকজনের পেশা ইজিবাইক চালনা, ট্রাকের সহকারী, শ্রমিক, কৃষক ও বালু শ্রমিক। এখন সবার কাজ বন্ধ। বেশির ভাগ মানুষ দিনে একবারও খেতে পারছে না। এলাকার কাউকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়নি। ফলে লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়কে নামে।

মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, খাদ্যসামগ্রীর অপ্রতুলতা রয়েছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে মাত্র ১২০ জন্যের জন্য ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ হয়েছে। অথচ অসংখ্য মানুষ সহায়তা পাওয়ার যোগ্য। বরাদ্দ না থাকায় অনেককে দেওয়া যাচ্ছে না। ছোনকান্দা এলাকাটি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। সেখানে ১২০ জনকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। লোকজনকে কেউ হয়তো উসকে দিয়ে রাস্তায় নামিয়েছিলেন। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁদের তালিকা করে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন,‘ওই এলাকার লোকজন আমাদের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ করেনি। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অনেক আগেই তাঁদের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হতো। এলাকার যারা সহায়তা পাওয়ার যোগ্য, তাদের একটি তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেখানে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী রয়েছে।’