করোনায় পোশাকশ্রমিক আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ

চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় এক নারী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি। সংগঠনটি বলছে, কারখানা সময়মতো বন্ধ করে দিলে শ্রমিকেরা লোকসমাগমে কাজ বা চলাফেরা করা ও বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন না। তাতে এ রকম ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকত।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাস নাইন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, আক্রান্ত শ্রমিকের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ওই কারখানার বাকি কর্মীর পাশাপাশি শ্রমিকপল্লিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ ঘটনার জন্য সরকার ও মালিকদের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলাকে দায়ী করেন নেতারা।

আক্রান্ত ওই নারী শ্রমিকের পাশাপাশি কারখানার অন্য কর্মী এবং শ্রমিকপল্লির যাঁরা সংক্রমিত হবেন, তাঁদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার ও সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিককে নেওয়ার দাবি জানান গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির নেতারা। এ ছাড়া সব পোশাক কারখানা তিন মাসের সবেতনে ছুটি দেওয়ার দাবি করেন তাঁরা।

চট্টগ্রামে গতকাল বুধবার তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষায় এক নারী ও দুই পুরুষের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা গতকাল জানান, সংক্রমিত তিনজনের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে। নগরের সাগরিকা এলাকায় আরেকজনের বাড়ি। তিনি পোশাক কারখানার কর্মী। ওই কারখানার কতজন শ্রমিক কাজ করছেন, তা শনাক্ত করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। অন্যজনের বাড়ি সীতাকুণ্ড পৌর এলাকায়। তিনি একজন ব্যাংকার।