কুষ্টিয়ায় করোনা সংক্রমিত জেলার ব্যক্তি ও পরিবহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

কুষ্টিয়া জেলায় প্রবেশের মহাসড়কসহ সবগুলো সড়কে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য তল্লাশিচৌকি স্থাপন করা হয়েছে। করোনা সংক্রমিত এলাকার কোনো ব্যক্তি বা গাড়ি এ জেলায় যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টায় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের স্বাক্ষরিত পাঠানো গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকার লক্ষ্যে শুক্রবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেট, মাদারীপুর ও গাজীপুরসহ করোনা সংক্রমিত কোনো এলাকার কোনো ব্যক্তি বা পরিবহন কুষ্টিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে না। প্রবেশ ঠেকানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে জেলার প্রধান প্রধান প্রবেশপথে প্রতিবন্ধকতা স্থাপন করা হয়েছে। এসব স্থানে সার্বক্ষণিক তল্লাশিচৌকি বসিয়ে সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছে।

যেসব স্থানে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সদর উপজেলার মনোহরদিয়া, কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর, খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া ও কালিতলা, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ভেড়ামারা উপজেলার লালন শাহ সেতু এলাকা এবং দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ও কাজীপুর এলাকায়। এসব সড়ক দিয়ে ঝিনাইদহ, রাজবাড়ী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর জেলা থেকে কুষ্টিয়ায় যাতায়াত হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসা, ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী, কৃষিপণ্য সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও ব্যক্তি এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

এদিকে কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) জানিয়েছেন, তাঁদের এলাকার অনেক বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জে বাস করেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় ফিরেছেন। তাঁদের শনাক্ত করে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।