নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেনীতে ফিরে মৃত্যু, বাড়ি লকডাউন

নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেনীতে ফিরে বৃহস্পতিবার রাতে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন নুরের নবী (৬০) নামের এক ব্যক্তি। পরে রাত তিনটার দিকে বিশেষ ব্যবস্থায় লাশ দাফন করা হয়েছে। তাঁর বাড়িসহ স্থানীয় তিনটি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।

নুরের নবী ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাছের আড়তে চাকরি করতেন। গত ২৪ মার্চ গ্রামের বাড়িতে আসেন। কয়েক দিন আগে অসুস্থ হলে স্থানীয় এক পল্লিচিকিৎসকের কাছ থেকে সেবা নেন। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যুর পর ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন সুলতানা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মজিবুল হক বাড়িতে যান। তাঁরা ওই ব্যক্তির বাড়িসহ স্থানীয় তিনটি বাড়ি লকডাউন করেন। চিকিৎসা দেওয়া পল্লিচিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক বলেন, দুই দিন আগে তাঁরা ওই ব্যক্তির অসুস্থতার কথা জানতে পারেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন তাঁর নমুনা সংগ্রহ করেন। তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর সন্ধ্যায় তাঁকে ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানোর কথা ছিল। তাঁকে আনার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছিল। পরিবারের লোকজন সেটি ফেরত পাঠান। এ অবস্থায় রাত আটটার দিকে তিনি মারা যান।

ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ এসএম মাসুদ রানা বলেন, ওই রোগীর করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। বিষয়টি জানার পর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা নানাভাবে তাঁকে সেবা দিয়েছেন। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও পরিবারের অসহযোগিতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরে তিনি মারা গেছেন। বিকেলে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ফলাফল হাতে না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।

ফেনী সদরের ইউএনও নাসরীন সুলতানা বলেন, ওই ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় বিশেষ ব্যবস্থায় রাত তিনটার দিকে গ্রামের কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে। ওই গ্রামের তিন বাড়ি লকডাউনের পাশাপাশি তাঁকে সেবা দেওয়া পল্লিচিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।