চুয়াডাঙ্গায় সড়কে সড়কে তল্লাশিচৌকি, প্রবেশে বিধিনিষেধ

চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে যানবাহন ও মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে জেলা সব কটি প্রবেশপথসহ ১১টি স্থানে পুলিশের তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া কোনো যানবাহন জেলায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের চলাফেরায় আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কাঁচাবাজারগুলোকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য চালু রাখা এবং দূরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার স্বাক্ষরিত এক প্রেস নোটে বলা হয়েছে, দেশের কয়েকটি জেলায় করোনাভাইরাসের বিস্তার বেশি ঘটেছে। ফলে ওই সব এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে কর্মরত লোকজন নিজ নিজ জেলায় ফিরছেন এবং ফেরার চেষ্টা করছেন। সেসব এলাকা থেকে কেউ চুয়াডাঙ্গায় ফিরলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। চুয়াডাঙ্গাকে করোনা ঝুঁকিমুক্ত রাখতে জেলার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলার সব প্রবেশপথ এবং আন্তঃউপজেলার সড়কপথে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রোগীবাহী গাড়ি, ওষুধ, পণ্যবাহী গাড়ি, কৃষিপণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী গাড়ির মতো জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহনের বাইরে সব ধরনের যানবাহন ও মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জেলার বদরগঞ্জ, হাসাদহ, পাটিকাবাড়ি ও কুলপালাসহ বিভিন্ন এলাকার ১১টি স্থানে পুলিশ তল্লাশিচৌকি বসিয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, করোনার বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কারণে বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলা থেকে মানুষ নিজ জেলায় ফিরতে শুরু করেছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা এখনো ভালো অবস্থায় আছে। কিন্তু বাইরে থেকে লোক ঢুকলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তা মোকাবিলা করতেই এই উদ্যোগ।