সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে শিশুর মৃত্যু, গাইবান্ধা লকডাউন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে এক শিশুর (১১) মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার একটি গ্রামে তাঁর মৃত্যু হয়।

শিশুটির স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বাবা-মা ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সে গ্রামের বাড়িতে থাকত। কয়েক দিন আগে ঢাকা থেকে শিশুটির বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে আসেন। তারপর থেকেই তার সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মজিদুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি দল শিশুটির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। সেই নমুনা পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে সামাজিক নিরাপত্তার জন্য ওই বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।

গাইবান্ধা লকডাউন
করোনাভাইরাসের বিস্তার এড়াতে গাইবান্ধা জেলা লকডাউন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউন বলবৎ থাকবে। বিকেল পাঁচটা থেকে এই লকডাউন কার্যকর হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারজানা বাশার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন এ বি এম আবু হানিফ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরহাদ আব্দুল্লাহ হারুণ ও সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ সরোয়ার কবীর প্রমুখ।

সভায় জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, লকডাউন চলাকালে সড়ক ও নৌপথে অন্য কোনো জেলা থেকে কেউ এ জেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না এবং অন্য কোনো জেলায় গমন করতে পারবেন না। জেলার অভ্যন্তরে আন্তজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও লকডাউন বলবৎ থাকবে। তিনি আরও বলেন, জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।