সেবার জন্য ছুটে চলা ২৮ জন

রংপুর নগরে দোকানের সামনে সুরক্ষাচিহ্ন অঙ্কন ও হ্যান্ডমাইকে সচেতনতামূলক প্রচারণা। ছবি: প্রথম আলো
রংপুর নগরে দোকানের সামনে সুরক্ষাচিহ্ন অঙ্কন ও হ্যান্ডমাইকে সচেতনতামূলক প্রচারণা। ছবি: প্রথম আলো

সব মিলিয়ে তাঁরা ২৮ জন। কখনো ওষুধ নিয়ে ঘরবন্দী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কখনো ছুটে গেছেন চাল ডাল আলু তেল লবণ নিয়ে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের জন্য সচেতনতার কাজও করে চলেছেন। রংপুরের এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নাম ‘উই ফর দেম’।

করোনাভাইরাস রোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে এবং কর্মহীন ঘরবন্দী অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল, বিকেল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ছুটে বেড়াচ্ছে সচেতনতার বার্তা নিয়ে। সেই সঙ্গে শুকনো খাবারও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তাদের সেবামূলক কর্মসূচিতে সাড়া মিলছে সবখানে। মানুষ হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের প্রতি।

সম্প্রতি দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশের দোকানের সামনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে সুরক্ষাচিহ্ন আঁকছেন সংগঠনের সদস্যরা। এরপর দোকানমালিকদের বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, এই চিহ্নের অর্থ এবং কীভাবে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

এভাবে সংগঠনের সদস্যরা প্রতিদিন নগরের বিভিন্ন বাজার দোকানপাটের সামনে এঁকে গেছেন ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপদ দূরত্ব সুরক্ষার চিহ্ন। এ ছাড়া নগরের লালবাগ, শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি, পায়রা চত্বর, সিটি বাজার, কাচারি বাজার, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়সহ বিভিন্ন পাড়ামহল্লায় সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়ি ও বিভিন্ন যানবাহনে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটিয়েছেন এই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা।

সাধারণ মানুষকে করোনাভইরাসের বিষয়ে সচেতন করতে হ্যান্ডমাইকে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করছে ‘উই ফর দেম’। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি জানিয়ে দিয়েছে, করোনাভাইরাস সংশ্লিষ্ট দ্রুত সেবা পাওয়ার হটলাইন নম্বরগুলো। এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের বিশ্বাস, আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা অবলম্বন করলে করোনার ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।

‘উই ফর দেম’ প্রতিষ্ঠা করেছেন জীবন ঘোষ নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এই কাজ করে চলেছি। প্রথমে নিজেরা পরিবারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে এই কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর আস্তে আস্তে মানুষজন এগিয়ে এসেছে আমাদের কর্মকাণ্ডে।’