মাদারীপুরে জ্বর,শ্বাসকষ্ট নিয়ে নারীর মৃত্যু, বাড়ি লকডাউন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের কালকিনিতে জ্বর,শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও গলাব্যথা নিয়ে ৪৫ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাড়িটি লকডাউন করেছে পুলিশ।

ওই নারী শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও গলাব্যথা নিয়ে এই হাসপাতালে আসেন। করোনাভাইরাসের সন্দেহে তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রেজাউল করিম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই নারীকে আমিই সর্বপ্রথম চিকিৎসা দিয়েছিলাম। প্রথমে আমরা তাঁর বুকের একটি এক্স-রে করাই। সেটা দেখে প্রাথমিক আমাদের মনে হয়েছিল, তিনি নিউমোনিয়া আক্রান্ত। পরে তাঁর শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখন তাঁর আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) নেওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমাদের এখানে উপযুক্ত সরঞ্জাম নেই। পরে ওই নারী রাত ১১টার দিকে মারা যান।’

হাসপাতাল সূত্র জানায়, মারা যাওয়া ওই নারী কালকিনি উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। এক সপ্তাহ আগে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে জ্বরের সঙ্গে কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। গুরুতর অবস্থায় ওই নারীকে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনেরা। চিকিৎসকেরা উপসর্গ দেখে ধারণা করেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। রাত ৯টার দিকে ওই নারীকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১১টায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

আরএমও রেজাউল করিম বলেন, নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এলে বোঝা যাবে, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না। তাঁরা পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে ওই নারী কার কার সংস্পর্শে ছিলেন, তা জানার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তেমন কিছু বলতে পারেননি। তবু তাঁর বাড়ি লকডাউন করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুসারে লাশ দাফনের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে জানানো হয়েছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও কালকিনি সার্কেল) বদরুল আলম মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ওই নারী আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তবুও করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় তাঁর বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। সেখানে পুলিশের পাহারা বসানো হয়েছে।