জয়পুরহাটে সরকারি ১১৫০ কেজি চাল জব্দ

জয়পুরহাটে সরকারি চাল কালোবাজারির সময় ধরা পড়ে ২৩ বস্তা চাল। প্রতিটি বস্তায় ছিল ৫০ কেজি করে। এসব চাল ছিল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের। 

আজ শনিবার ভোরে ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার ইমদাদুল হকের গুদামের সামনে থেকে দুটি ভ্যানসহ চালগুলো জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আলমপুর ইউনিয়নে সুবিধাভোগীদের মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি করা হয়। এসব চাল সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে কিনে নেন ব্যবসায়ী ইমদাদুল ও মালেক। প্রতিটি সরকারি বস্তায় চাল থাকে ৩০ কেজি করে। ইমদাদুল ও মালেক বস্তা থেকে চাল খুলে ৫০ কেজির বস্তা বানান। আজ ভোর চারটার দিকে ইমদাদুল হকের গুদাম থেকে চালগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে দুটি ভ্যানে বোঝাই করা হয়। রাতের টহল পুলিশের একটি দল ওই পথ দিয়ে আসার পথে চালবোঝাই দুটি ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে যায়। পুলিশ আসার বিষয়টি টের পেয়ে ইমদাদুল ও মালেক গুদাম থেকে দৌড়ে পালান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫০ কেজি ওজনের ২৩ বস্তা চালসহ দুটি ভ্যানের চালককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ভ্যানচালক আনোয়ারুল ও গুড্ডি জানান, ইমদাদুল ও মালেক চালের বস্তা দুঁপচাচিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁদের দুটি ভ্যান ভাড়া করেছিলেন।
আলমপুর ইউপির চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার বলেন, আলমপুর ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি করা হয়েছিল। ইমদাদুল ও মালেক নামের দুই ব্যবসায়ী সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ওই চাল কিনেছিলেন।
ক্ষেতলাল থানার পরির্দশক (তদন্ত) আবু রায়হান বলেন, সরকরি চাল কালোবাজারি করায় ইমদাদুল হক ও মালেকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আটক দুই ভ্যানচালককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিউল ইসলাম রুবেল, আক্কেলপুর, জয়পুরহাট।