ঠাকুরগাঁও জেলা লকডাউন ঘোষণা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ঠাকুরগাঁও জেলাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে জেলা প্রশাসক এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ আদেশ দেন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধসংক্রান্ত জেলা কমিটির সিদ্ধান্তে জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হলো। জেলায় জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়ক–মহাসড়কে অন্য জেলা থেকে ঠাকুরগাঁও জেলায় কেউ প্রবেশ করতে কিংবা অন্য জেলায় গমন করতে পারবেন না। জেলার অভ্যন্তরে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় আসা-যাওয়া করা যাবে না।

গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সব ধরনের গণপরিবহন, জনসমাগম বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসাসেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ ইত্যাদি এর আওতার বাইরে থাকবে। জনসাধারণের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আগে জারি করা আদেশ বলবৎ থাকবে।

জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, আজ রাত নয়টার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শনিবার ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি উপজেলায় তিন তরুণের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন মো. মাহফুজার রহমান সরকার নিশ্চিত করেন। আক্রান্ত তরুণদের মধ্যে হরিপুর উপজেলায় দুজন আর অন্যজন পীরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তাঁদের একজনের বয়স ১৮, অন্য দুজনের বয়স ২২। সপ্তাহখানেক আগে তাঁরা নারায়ণগঞ্জ থেকে এলাকায় আসেন। তিনজনই সেখানে শ্রমিকের কাজ করতেন। সর্দি-জ্বর ও কাশি হলে ১০ এপ্রিল তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে পরীক্ষার জন্য নমুনা রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ওই তিন তরুণের করোনা ‘পজিটিভ’ পাওয়া যায়।