বেতন বাড়ানোর দাবি চট্টগ্রামের করোনা পরীক্ষাগারের আউটসোর্সিং কর্মচারীদের

বিআইটিআইডি হাসপাতাল
বিআইটিআইডি হাসপাতাল

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন। এই হাসপাতালে চট্টগ্রাম বিভাগের সন্দেহভাজন রোগীদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়।

আজ রোববার সকাল আটটার দিকে কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা হাসপাতালের পরিচালক এম এ হাসান চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি তাঁদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলন ছেড়ে কাজে যোগ দেন কর্মচারীরা।

কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই হাসপাতালে মোট ৫০ জন ওয়ার্ডবয়, ক্লিনার ও অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের সবাই এসএস সিকিউরিটি সার্ভিস নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ পাওয়া।

আন্দোলনরত এক কর্মচারী প্রথম আলোকে বলেন, সরকার তাঁদের জন্য ঠিকাদারকে প্রতি মাসে ১৬ হাজার ৫০ টাকা বেতন দেয়। কিন্তু তাঁরা পান ৯ হাজার ৫০০ টাকা। এতে তাঁদের জীবন চলে না। এখন তাঁদের দায়িত্ব ও ঝুঁকি দুটোই বেড়েছে। কিন্তু বাড়েনি তাঁদের বেতনসহ সুযোগ–সুবিধা। এ জন্য তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন।

আরেক কর্মচারী বলেন, রোগী হাসপাতালে ঢুকেই তাঁদের কাছে যান। কিন্তু তাঁদের কোনো পিপিই নেই। তাঁরা ঝুঁকির মধ্যে আছেন। সরকারি স্বাস্থ্য বিমাভুক্ত করার দাবি তাঁদের। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ছুটি বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

কর্মচারীরা বলেন, হাসপাতালের পরিচালক তাঁদের পিপিই ও ছুটির ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু বেতন বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদার ২৬ এপ্রিল বিষয়টি সমাধান করবেন বলে কথা দিয়েছেন।

হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক এম এ হাসান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা হঠাৎ আন্দোলনে নেমেছেন। কর্মচারীরা সমস্যার কথা কখনো তাঁকে জানাননি। আজ সকালে কর্মচারীরা তাঁর কাছে আসার পর বেতনের বিষয়টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কর্মচারীদের অন্যান্য দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালের একটি আলাদা ইউনিটে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। সেখানে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের পিপিই রয়েছে। কিন্তু সাধারণ রোগীদের ইউনিটের সবাই পিপিইর দাবি করছেন। ঝুঁকি বুঝে পিপিই দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এ ছাড়া যাঁরা করোনা ইউনিটে কাজ করছেন, তাঁরা সাত দিন কাজের পর হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার ছুটি পাবেন। ওই ঘোষণায় কর্মচারীরা খুশি হয়েছেন।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল আজম প্রথম আলোকে বলেন, কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি ২৬ এপ্রিল সমাধান হয়ে যাবে। সেই দিন কর্মচারীদের তিনজন প্রতিনিধির সঙ্গে তিনি বসে বেতন পুনর্নির্ধারণ করবেন।