বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু, করোনা সন্দেহে দাফনে বাধা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার একটি কারখানায় চাকরি করতেন মো. শাহ আলম (২৮)। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা।

শনিবার দুপুরে শাহ আলম কারখানায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান। স্বজনেরা ওই দিন রাতে তাঁর লাশ দাফনের জন্য নান্দাইলে নিয়ে আসেন। সেখানেই বাধে বিপত্তি। ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সন্দেহে তাঁর লাশ দাফনে বাধা দেন গ্রামবাসী। পরে অনেক চেষ্টায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গ্রামবাসীকে বিষয়টি বুঝিয়ে তাঁর লাশ দাফন করেন স্বজনেরা।

স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শাহ আলমের মৃত্যুর পর গ্রামে প্রচার হয় তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গ্রামবাসী তাঁর লাশ দাফনে বাধা দেন। শনিবার রাতভর চেষ্টা করেও লাশ দাফন করতে পারেননি স্বজনেরা। পরে আজ রোববার সকালে ওই যুবকের কয়েকজন স্বজন আসেন নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আবদুর রহিমের কাছে। ঘটনাটি বলার পর ইউএনও মৃত্যুর ঘটনাস্থল কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বেসরকারি হাসপাতালে কথা বলেন। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনিয়ে নিশ্চিত হন, শাহ আলম বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে গ্রামবাসীকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর রোববার শাহ আলমের লাশ দাফন করা সম্ভব হয়।

ইউএনও প্রথম আলোকে বলেন, যে কারখানায় ওই যুবক কাজ করতেন, সেখানে খোঁজ নিয়ে এবং এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনি করোনায় নন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে শাহ আলমের লাশ দাফন করা হয়েছে।