মুন্সিগঞ্জে নতুন দুজনের করোনা শনাক্ত, জেলায় মোট ১৪

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং ও সিরাজদিখান উপজেলায় আরও দুজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জ সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত মোট ১৪ জন ব্যক্তি পাওয়া গেল।

লৌহজংয়ের আক্রান্ত ব্যক্তি (৪৮) নারায়ণগঞ্জে থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি উপজেলার নাগেরহাট এলাকায়। সিরাজদিখানের আক্রান্ত ব্যক্তি (৪৪) উপজেলার কুচিয়ামোড়া এলাকার বাসিন্দা।

সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রোববার ১২ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়। আজ সকালে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ওই দুই ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ সকাল পর্যন্ত জেলার মোট ১০৫ জনের নমুনা পাঠানো হয়। তার ভেতর থেকে ১৪ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ পাওয়া গেছে। আজ আরও ২৩ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।

লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে পেঁয়াজের ব্যবসা করতেন। ১০ এপ্রিল তিনি জ্বর, ঠান্ডা ও মাথাব্যথা নিয়ে লৌহজংয়ে গ্রামের বাড়ি ফেরেন। ১১ এপ্রিল স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। উপসর্গ দেখে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ করেন চিকিৎসকেরা। নমুনা সংগ্রহ করে মুন্সিগঞ্জ সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। আজ পরীক্ষার প্রতিবেদনে তাঁর করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ আসে।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাবিরুল ইসলাম খান বলেন, ওই ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে আসায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিকটি লকডাউন করা হয়েছে। তাঁর এলাকার ৭টি বাড়ির সবাইকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। রোগীর অবস্থা ভালো থাকায় বাড়িতেই রাখা হয়েছে।

সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো.বদিউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আক্রান্ত ব্যক্তি রোববার জ্বর, সর্দি নিয়ে আমাদের হাসপাতালে গাড়িতে করে আসেন। নমুনা সংগ্রহ করে মুন্সিগঞ্জে পাঠিয়েছিলাম। সোমবার আসা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, তিনি করোনা পজিটিভ। রোগীকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

এর আগে গত শনি ও রোববার মুন্সিগঞ্জের পাঁচটি উপজেলায় দুজন নারীসহ ১২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। লৌহজং উপজেলায় আগেও একজন আক্রান্ত হয়েছেন। আজ নতুন করে লৌহজং উপজেলায় একজন আক্রান্ত হলো।