পা কেটে নিয়ে উল্লাস, দুই পক্ষের নেতাসহ আটক ৪০

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষকালে এক ব্যক্তির পায়ের কাটা অংশ নিয়ে উল্লাসের ঘটনায় মোট ৪০ জন আটক হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই পক্ষের দুই নেতাও।

আটক হওয়া দুই নেতার মধ্যে জিল্লুর রহমান উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। গতকাল রোববার মধ্যরাতে ঢাকার কলাবাগান এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। আটক হওয়া অপর পক্ষের নেতার নাম আবু কাউসার মোল্লা। তিনি কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামের ‘সর্দার’ হিসেবে পরিচিত। তাঁকে আশুগঞ্জ উপজেলার বায়েক এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। অপর ৩৮ জনকে গতকাল দুপুর থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কৃষ্ণনগর ইউপির চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও এলাকার সর্দার আবু কাউসার মোল্লার মধ্যে কয়েক বছরে বিরোধ চলে আসছে। ইতিমধ্যে এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হয়েছে। দুই-তিন দিন আগেও আবু কাউসার মোল্লার পক্ষের লোকজন চেয়ারম্যানের পক্ষের একজনকে মারধর করে। আজ সকালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের লোকজনকে নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে কথা ছিল। তার আগে রোববার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয় পড়ে। কাউসার মোল্লার পক্ষের লোকজন চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের পক্ষের মোবারক মিয়ার (৪৫) একটি পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। পরে পায়ের বিচ্ছিন্ন অংশ নিয়ে গ্রামে উল্লাস করা হয়। এ দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আহত মোবারককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন আহত হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ৪০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের সময় পুলিশের এক এসআই ও দুই কনস্টেবলও আহত হন। পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।