ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তরুণীর লাশ উদ্ধার, যুবক আটক

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে লুবনা আক্তার নামের (১৮) এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রানা কর (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

জেলা শহরের মধ্যপাড়ার বসাকপাড়া মহল্লার অরবিন্দ করের বাসা থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আরবিন্দ কর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে কর্মরত। লুবনা শহরের কাজীপাড়া দরগাপাড়া মহল্লার মুসলিম মিয়া মেয়ে। আর রানা বসাকপাড় মহল্লার নির্মল করের ছেলে। তিনি শহরের একটি ওষুধের দোকানে কাজ করেন।

নিহত তরুণীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ ৯৯৯–এ কল পেয়ে সদর থানার পুলিশের একটি টহল দল মধ্যপাড়ার বসাকপাড়া মহল্লায় যায়। অরবিন্দের বাড়ির উঠানে গলায় দড়ি পেঁচানো অবস্থায় লুবনার লাশ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে সকাল নয়টার দিকে লুবনার পরিবারের লোকজন তাঁর লাশ শনাক্ত করেন। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।

নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বসাকপাড়া মহল্লার অরবিন্দ করের বাড়ির উঠানসংলগ্ন বাড়িতে থাকেন রানা। গতকাল রাত ১২টার দিকে লুবনাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান রানা। সকালে লাশ পাওয়ার খবর যায় তাঁদের কাছে। রানার সঙ্গে মুঠোফোনে লুবনা প্রায়ই কথা বলতেন। পরিবারের লোকজন এতে বাধা দিলেও লুবনা তা শোনেননি। তাই গতকাল রাতে তাঁকে ডেকে নিয়ে গেলেও কেউ কিছু বলেননি। রানাই লুবনাকে হত্যা করে লাশ বাড়ির ছাদ থেকে অন্য বাড়িতে ফেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।

পরিবারের লোকজনের দাবি, মাসখানেক আগে লুবনার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে নেওয়া হয় তাঁকে। তাঁর মানসিক অবস্থার উন্নতি হয় কিছুটা।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির দাবি, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে একটি মেয়েকে কেউ মারধর করছেন—এমন শব্দ শুনতে পান তাঁরা। মেয়েটি তখন বলছিলেন—‘আমাকে মেরো না।’

যে বাড়ির উঠানে লুবনার লাশ পাওয়া গেছে, সেই বাড়ির বাসিন্দা অরবিন্দ কর বলেন, ‘রাত তিনটার দিকে সামনের বাড়িতে একটি মেয়েকে কেউ মারছিলেন—এমন শব্দ শুনতে পেয়েছি। সামনের বাড়িতে একজন প্রতিবন্ধী থাকেন বলে বিষয়টি আমরা আমলে নিইনি। ভোরের দিকে পুলিশ এক তরুণীর লাশ পায়। সকালে তাঁর পরিচয় জানতে পারি।’

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এ ঘটনায় রানা নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। রানার বাড়ির সীমানাসংলগ্ন স্থান থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।