১১ দেশে মারা গেছেন দুই শতাধিক বাংলাদেশি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বাংলাদেশিদের মৃত্যু ও সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। গতকাল রোববার পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ১৩১ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন।

করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রের পর যুক্তরাজ্যেও মারা গেছেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি। গত সোমবার বিকেল পর্যন্ত সেখানে অন্তত ৪৮ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন।

প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায় ও কূটনৈতিক সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১১টি দেশে দুই শ–জনের বেশি বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে মারা গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ৯ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে নিউইয়র্কে সাতজন ও ওয়াশিংটনে দুই বাংলাদেশি মারা গেছেন। এ ছাড়া দেশটিতে কয়েক শ বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও ম্যানচেস্টারে বাংলাদেশ মিশন এবং কমিউনিটি সূত্রে জানা গেছে, দেশটিতে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৪৮ জন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। নিহতদের বড় অংশটি লন্ডনের বাসিন্দা। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের সরকারি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে সেখানকার গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হওয়া লোকজনের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হচ্ছেন অভিবাসী। সেই হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশি আক্রান্তের সংখ্যা নেহাতই কম নয় বলে জানিয়েছেন সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ১৩১ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৮, ইতালিতে ৬ জন, কানাডায় ৪ জন, সৌদি আরব ও স্পেনে ৩ জন করে, কাতারে ২ জন এবং সুইডেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া ও গাম্বিয়ায় ১ জন করে মারা গেছেন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১১টি দেশে ২০১ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সিঙ্গাপুরে। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী গত রোববার পর্যন্ত সেখানে ৬৬৯ জন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুর ছাড়া ইতালিতে ৭৪, স্পেনে ৭০, কুয়েতে ২৫, কানাডা ও ফ্রান্সে ২০ জন করে, মালয়েশিয়ায় ১২ ও জার্মানিতে ১০ বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।