গোপালগঞ্জে সামাজিক দূরত্ব না মানা নিয়ে সংঘর্ষে তরুণ নিহত

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। গুরুতর আহত দুজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার বাটিকামারি বাহারা পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণের নাম সুজন শেখ (২৬)। তিনি ওই গ্রামের মজিবর শেখের ছেলে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত দুজনের একজন সুজনের বাবা মজিবর শেখ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলাকার আধিপত্য নিয়ে বাটিকামারি বাহারা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মজিবর শেখের সঙ্গে মতি মাতব্বর ও ইব্রাহিম মাতব্বরের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত রোববার সন্ধ্যায় গ্রামের একটি মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এশার নামাজ আদায় করা নিয়ে ওই গ্রামের মজিবর শেখের সঙ্গে মতি মাতব্বরের কথা-কাটাকাটি হয়। সোমবার ভোরে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় সুজন শেখ ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন ১০ জন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহত তুষার শেখ ও মজিবর শেখকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গোপালগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন (মুকসুদপুর সার্কেল) এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ এবং সামাজিক দূরত্ব রেখে নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা আবুল কালাম আজাদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।