নান্দাইলে ২৪ বস্তা চাল আটক

ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার চণ্ডীপাশা মোড়ে সরকারের উপকারভোগীদের মধ্যে বরাদ্দ করা ২৪ বস্তা চাল আটক করেন স্থানীয় লোকজন। গতকাল সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল উদ্ধার করে থানায় পাঠান। আজ মঙ্গলবার একজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চালের বস্তাগুলো একটি নছিমনে করে নান্দাইল-আঠারবাড়ি সড়ক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন মো. মজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। চণ্ডীপাশা মোড় এলাকার লোকজন সন্দেহজনক মনে করে নছিমনটি থামান। লোকজনের প্রশ্নের উত্তরে চালের বস্তার মালিক বলেন, তিনি ঘোষপালা আমলীতলা বাজারে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে চালগুলো কিনেছেন।

আরেকটি সূত্রের দাবি, ঘোষপালা এলাকায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আবদুল কাইয়ুম নামের একজন ডিলারের চাল বিক্রয়কেন্দ্র আছে। গতকাল সেখানে চাল বিক্রির কার্যক্রম চলছিল। মজিবুর রহমান ওই এলাকা থেকে চাল কিনে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে চালের বস্তাগুলো লোকজন আটক করে। প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি করে চাল আছে। সে হিসাবে চালের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ২০০ কেজি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আবদুর রহিম সুজন। তিনি চালের বস্তাগুলো ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, চালগুলো সরকারি বস্তায় ভরা ছিল না। কিন্তু চালের বস্তার মালিক মজিবুর রহমান বলেছেন, চালগুলো তিনি উপকারভােগীদের কাছ থেকে কিনেছেন।


নান্দাইল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মো. আবু হাসান সানোয়ার বলেন, ‘আমি নিজে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ডিলারের মজুত পরীক্ষা করে ঠিক পেয়েছি। খাদ্য বিভাগ ডিলারের মাধ্যমে উপকারভোগীদের হাতে ১০ টাকা কেজি দরের চাল তুলে দিচ্ছে। এখন উপকারভোগীদের কেউ চাল বিক্রি করে দিলে আমাদের কী করার আছে?’


নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনুসর আহমেদ আজ সকালে বলেন, খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মো. আবু হাসান সানোয়ার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। চাল ক্রেতা মজিজুর রহমানকে মামলার আসামি করা হয়েছে।