বৈশাখের শুরুতেই কালবৈশাখী, আরও দুদিন ঝড়বৃষ্টি

কালবৈশাখীর প্রভাবে কালো মেঘে ঢাকা রাজধানীর আকাশ। সদরঘাট, ঢাকা, ১৫ এপ্রিল। ছবি: দীপু মালাকার
কালবৈশাখীর প্রভাবে কালো মেঘে ঢাকা রাজধানীর আকাশ। সদরঘাট, ঢাকা, ১৫ এপ্রিল। ছবি: দীপু মালাকার

চৈত্র মাসের শেষ দুদিন কী গরমই না পড়েছিল! এই ধারা বর্ষবরণের প্রথম দিন গতকাল মঙ্গলবারও রয়ে যায়। বরং গতকাল উত্তাপ আরও ছড়িয়েছিল প্রকৃতিতে। কিন্তু আজ বুধবার কালবৈশাখী ছোবল মেরেছে দেশের উত্তরাঞ্চলে। কালবৈশাখীর প্রভাব রাজধানী ঢাকায় এসে পড়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ও পরদিন শুক্রবারও ঝড়বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ ভোর থেকে গরম থাকলেও সকালবেলা উত্তরাঞ্চলে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে কালবৈশাখী আঘাত হানে। সকাল নয়টা পর্যন্ত দিনাজপুর জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ১৫ মিলিমিটার।

আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, উত্তরাঞ্চলে আজ সকাল থেকে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে গেছে। এই মেঘমালা দেশের পূর্বাঞ্চলের দিকে সরে আসছে। এর ফলে ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চলেও কালবৈশাখী হতে পারে।

আবদুল মান্নান বলেন, টানা বৃষ্টি না হলেও কাল ও পরদিন কালবৈশাখীসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সময় তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে বিরতি পেলে আবার দ্রুত গরম বাড়বে। কারণ, বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প রয়েছে। এই বাতাস দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে আসছে। এ ছাড়া চলতি এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে বা আগামী সাত দিন সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা আগামী এক সপ্তাহ না থাকলেও কালবৈশাখীতে বাতাসের তীব্রতা বেশ থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, আজ কালবৈশাখীর সময় বাতাসের গতি ছিল ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই ধারাতেই কালবৈশাখী হতে পারে।

আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, সিলেট ও খুলনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত দাবদাহ কিছুটা কমে আসতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় এর মাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।