বাঁশখালীতে চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত

বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে তাঁর নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ওই চিকিৎসক গত তিন দিন ধরে অসুস্থ।

ওই চিকিৎসকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর, বাঁশখালী প্রধান সড়কের চাম্বল বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতাল, আক্রান্ত চিকিৎসকের বাড়ি সহ তাঁর তিন আত্মীয়ের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া লকডাউন করা ওই বেসরকারি হাসপাতালের অপর এক চিকিৎসক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মচারী সহ তাঁর পরিবারের তিন সদস্য এবং পৌরসভার দুই বাসিন্দা (এক ও চার নম্বর ওয়ার্ড) যারা সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাঁশখালী এসেছেন তাঁদের নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনজন চিকিৎসককেও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আক্রান্ত চিকিৎসক সবশেষ গত ৭ এপ্রিল রাতে এবং ৮ এপ্রিল সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন। শনাক্ত হওয়ার আগে গত এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি তাঁর কয়েকজন আত্মীয়ের বাড়ি এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখেছেন। এছাড়া উপজেলা হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করার সময় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক ও কয়েকজন কর্মচারী তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের এক কর্মচারী ও তাঁর পরিবারের দুজনের (স্ত্রী ও মেয়ে শিশু) মধ্যে সর্দি, কাশি ও জ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, আক্রান্ত চিকিৎসক বাঁশখালী থেকে ফিরে চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশ বাসায় অবস্থান করছিলেন। তিন দিন আগে তাঁর সর্দি, কাশি সহ হালকা জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়। সন্দেহ হওয়ায় তিনি বিআইটিআইডিতে তিনি নমুনা পরীক্ষা করান। পরীক্ষায় তাঁর ফল পজিটিভ আসে। আক্রান্ত হওয়ার আগে চট্টগ্রাম শহরে তিনি তাঁর এক আত্মীয়ের চিকিৎসা দিয়েছিলেন। ওই আত্মীয়ের সর্দি, জ্বর, কাশি ছিল।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, আক্রান্ত চিকিৎসক ঠিক কোথায় সংক্রমিত হয়েছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে না। বাঁশখালীর ছয়জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেছেন দুজন।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, আক্রান্ত চিকিৎসক তাঁর কয়েকজন আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলেন এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখেছিলেন। সেজন্য চারটি বাড়ি এবং ওই হাসপাতাল লকডাউন করা হয়েছে।
বাঁশখালীর তিন প্রবেশ মুখে টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।