শেরপুরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সবজি বিক্রেতার মৃত্যু

শেরপুরে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে এক সবজি বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর তাঁর বাড়িসহ আশপাশের ১৫০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা পরীক্ষার জন্য তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির (৩২) বাড়ি শেরপুর পৌরসভার মধ্য চাপাতলী এলাকায়। তিনি তিন দিন ধরে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, ওই ব্যক্তি স্থানীয়ভাবে শাকসবজি সংগ্রহ করার পর ভ্যানে করে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করতেন। তিনি তিন দিন ধরে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁর পরিবারের সদস্যরা ফোন দেওয়ার পর তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার সকালে জেলা সদর হাসপাতালে আনার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই ব্যক্তির শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনা কাল বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হবে। পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হলে ওই সবজি বিক্রেতার পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীর থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

ইউএনও ফিরোজ আল মামুন বলেন, এ ঘটনার পর মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের ১৫০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি দল গতকাল দুপুরে চাপাতলী পৌর কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করে।