নেত্রকোনায় ২৭ বস্তা সরকারি চাল জব্দ

নেত্রকোনার পূর্বধলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) ২৭ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। এসব বস্তায় প্রায় এক টন চাল ছিল। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথক তিনটি স্থান থেকে চালের বস্তাগুলো পুলিশ জব্দ করে। চালগুলো পাশের ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা থেকে পাচার হচ্ছিল। বর্তমানে তা পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) তত্ত্বাবধানে হুগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কালিখা থেকে তিনটি মোটরসাইকেলে করে তিন যুবক চারটি চালের বস্তা নিয়ে পূর্বধলার দিকে আসছিলেন। সকাল পৌনে ১০টায় পূর্বধলার হুগলা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে হুগলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ, স্থানীয় বাসিন্দা মো. আশরাফ আলী, হাবিব ব্যাপারীসহ কয়েকজন ওই যুবকদের মোটরসাইকেল থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় তাঁদের কথায় সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন যুবকদের আটক করতে চান। একপর্যায়ে ওই তিন যুবক দুটি মোটরসাইকেল ও চারটি চালের বস্তা রেখে একটি মোটরসাইকেলে উঠে দ্রুত সটকে পড়েন। বিষয়টি পূর্বধলার ইউএনও উম্মে কুলসুম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমানকে জানানো হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জটিয়াবর গ্রামের আতিক সরকারের চালকল থেকে ১৫ বস্তা ও জামকোনা গ্রামের আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে আরও ৮ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।
পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, ‘চালগুলো তারাকান্দা থেকে পূর্বধলায় পাচার করে নিয়ে আসা হচ্ছিল। এর সঙ্গে তারাকান্দার খামারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতার ভাতিজার নামসহ স্থানীয় কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে আমরা বিষয়টি এখনো বলছি না। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এ ছাড়া তারাকান্দা উপজেলা খাদ্য অফিসকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে তথ্য–উপাত্ত সরবরাহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পূর্বধলার ইউএনও উম্মে কুলসুম বলেন, ‘জব্দকৃত চাল হুগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। বিষয়টি দুদক ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’