৪ ইউপি চেয়ারম্যান ও ৫ ইউপি সদস্য বরখাস্ত

কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুত করা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল। প্রথম আলো ফাইল ছবি
কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুত করা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল। প্রথম আলো ফাইল ছবি

ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে আরও চার ইউপি চেয়ারম্যান ও পাঁচ ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। বুধবার মন্ত্রণালয় হতে এ সংক্রান্ত পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানরা হলেন, পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কোরবান আলী, সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন পল্টু, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আন্দারমানিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল ইসলাম। এর আগে গত রোববার এক ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পাঁচ ইউপি সদস্য হলেন, কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবদুল মান্নান মোল্লা, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সেকান্দার মিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোহেল মিয়া, ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুহাম্মদ ওমর এবং একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জুয়েল মিয়া।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় বরখাস্ত হওয়া এসব জনপ্রতিনিধি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি অথবা ভিজিডির চাল অথবা জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেদের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত খাদ্যশস্য বিতরণ না করে আত্মসাতের মতো কারণে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন অথবা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ইতিপূর্বে ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এমন কর্মকাণ্ড জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি চিঠি প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। ওই নোটিশে কেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তা তার থেকে জানতে চাওয়া হয়।