মাদারীপুর জেলা লকডাউন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মাদারীপুর জেলা লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে।

এ বিষয়ে আজ বেলা দেড়টায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। এতে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাদারীপুর জেলায় ক্রমেই বেড়ে চলছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলায় এ পর্যন্ত ২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শিবচরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় আমরা মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এ উপজেলা লকডাউন করি। পরে আমরা দেখেছি, ওই উপজেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত নেই। তবে জেলার অন্য উপজেলাগুলোতে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে। গত তিন-চার দিনে সদরে চারজন, কালকিনি উপজেলায় একজন ও রাজৈর উপজেলায় দুজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আর যেন বৃদ্ধি না পায়, সে জন্য জেলার সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন মহলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা পুরো জেলাকে এবার লকডাউন ঘোষণা করেছি।’

জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মসজিদে শুক্রবারের জুমার নামাজে জামাতে ১০ জন এবং অন্য দিন ওয়াক্তের নামাজের জামাতে ৫ জনের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন জানায়, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে সম্প্রতি যাঁরা মাদারীপুর জেলায় এসেছেন, তাঁদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। তাঁদের নজরদারির জন্য পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়ক ও নৌপথ বা অন্য কোনো পথ ব্যবহার করে অন্য জেলা থেকে মানুষ মাদারীপুরে ঢুকতে পারবে না। একইভাবে এই জেলার মানুষও এসব পথ দিয়ে বাইরের কোনো জেলায় যেতে পারবে না। সব ধরনের গণপরিবহন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবাসংশ্লিষ্ট যানবাহন ও ব্যক্তি এ সিদ্ধান্তের আওতামুক্ত থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ১১ জন। কালকিনি ও রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন দুজন। অপর দুজন ঢাকায় চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত শিবচর উপজেলায়। আজ সদর উপজেলায় তিনজনসহ রাজৈর উপজেলায় একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।