বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে ফিরলেন আরও ৫৬ বাংলাদেশি

বেনাপোল স্থলবন্দর। ফাইল ছবি
বেনাপোল স্থলবন্দর। ফাইল ছবি

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ভারত থেকে আরও ৫৬ জন বাংলাদেশে ফিরেছেন। তাঁদের যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কুয়েত হোপ স্কুলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে ৫৪২ জন বাংলাদেশি ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন। 

ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৮১ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেনাপোল পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ৮৬ জন, শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন এবং ঝিকরগাছা উপজেলার কুয়েত হোপ স্কুলে ২৮৫ জন।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাসপোর্টের মাধ্যমে যেসব যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন, তাঁদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে ছাড়া হবে। ৬ এপ্রিল থেকে বেনাপোলে এ ধরনের কোয়ারেন্টিনে রাখার কাজ শুরু হয়েছে। যাঁরা দেশে ফিরছেন, তাঁদের সবার হাতে ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ সিল দেওয়া হচ্ছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা রয়েছে ৬ এপ্রিল থেকে যাঁরা ভারত থেকে ফিরবেন তাঁদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এঁদের মধ্যে যাঁরা জটিল রোগে আক্রান্ত তাঁদের যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রাখা হচ্ছে। এ পর্যন্ত বেনাপোল পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ৮৬ জন এবং শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলার কুয়েত হোপ স্কুলে ২৮৫ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব রোধে ভারত সরকার আগেই স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর ভারতজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। পরে বাংলাদেশ সরকারও বিদেশি যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। দুই দেশেই যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, প্রতিদিনই সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশন খোলা রয়েছে।