সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন চার কৃষক

বজ্রপাত। ফাইল ছবি
বজ্রপাত। ফাইল ছবি

সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে চার কৃষক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন হাওরে ধান কাটার সময় এবং একজন হাওরে ও অপরজন বাজারে যাওয়ার পথে মারা যান। বজ্রপাতে আহত হয়েছেন আরও দুই কৃষক। একই সঙ্গে বজ্রপাতে চারটি গবাদিপশুও মারা যায়। আজ শনিবার জেলার চার উপজেলায় সকাল ১০ থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।

দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সফি উল্লাহ জানান, সুনামগঞ্জে আজ সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছে। এর মধ্যেই হাওরে ধান কাটছেন কৃষক ও কৃষিশ্রমিকেরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিরাই উপজেলার উদগল হাওরে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাপস মিয়া (৩৫)। তিনি অন্যদের সঙ্গে হাওরে ধান কাটছিলেন। তাপস হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের মফিজ উল্লাহর ছেলে। তিনি সুনামগঞ্জের হাওরে ধান কাটতে এসেছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে আহত হন আরও দুই কৃষিশ্রমিক। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখানে বজ্রপাতে একটি গরু মারা যায়।

একই সময় জেলার শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে মারা যান শঙ্কর সরকার (২২) নামের আরেক কৃষক। তিনি উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের সুরেন্দ্র সরকারের ছেলে। এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, শঙ্কর সকালে বাড়ি থেকে বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছিল। পথে বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই ওই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাঁচগুইয়া হাওরে ধান কাটার সময় ফরিদ মিয়া (৩৫) নামের এক কৃষক মারা যান। ফরিদ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গাজীনগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে। এখানে বজ্রপাতে দুটি গরু মারা যায়। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আমাদের জগন্নাথপুর প্রতিনিধি জানান, জগন্নাথপুর উপজেলায় আজ সকালে বাড়ি থেকে গ্রামের পাশের হাওরে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা শিপন মিয়া (৩৩) নামের এক কৃষক। তিনি উপজেলার বাউধরন গ্রামের তবারক মিয়ার ছেলে। বজ্রপাতে তাঁর সঙ্গে থাকা একটি গরু মারা যায়। জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।