যমুনায় নৌকাডু্বিতে নিখোঁজ কিশোরীর লাশ উদ্ধার

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে গতকাল শুক্রবার নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন নিখোঁজ ছিল। এক দিন পর আজ শনিবার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা নিখোঁজ এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছেন। এখনো এ ঘটনায় নিখোঁজ মা ও ছেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম জানান, গতকাল দুপুরে ১৪ জন যাত্রী নিয়ে একটি ছোট নৌকা যমুনা নদী পার হওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু সেতুর ১৪ নম্বর পিলারের কাছে ডুবে যায়। প্রথমে আশপাশের নৌকা এগিয়ে গিয়ে ওই নৌকার কয়েকজন যাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়। গতকাল পর্যন্ত নৌকাডুবির ঘটনায় তিনজন নিখোঁজ ছিল। আজ সকাল থেকে আবারও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। দুপুরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া কিশোরীর নাম ওয়ালিফা (১৫)। সে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের হাছেন আলীর মেয়ে।

টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন রত্না আক্তার (২০) ও তাঁর ছেলে রবিউল ইসলাম (৬)। রত্না আক্তার বগুড়ার ধুনট উপজেলার ইজলসিং গ্রামের ফজলুল হকের স্ত্রী। রত্না ও তাঁর ছেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি জানান, নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ও উদ্ধার হওয়া সবাই শ্রমজীবী। তাঁরা ঢাকা থেকে বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা পর্যন্ত আসেন। পরে নৌকায় নদী পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন।