মির্জাপুরে আইসোলেশনে থাকা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী মারা গেছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। এর আগে ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা।

কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) অনিমেষ ভৌমিক জানান, রক্তক্ষরণ নিয়ে গত বুধবার ছয় সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূ কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। গত শুক্রবার সকাল থেকে তাঁর প্রচুর জ্বরসহ করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পরে রাতে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মুঠোফোনে গৃহবধূর স্বামী বলেন, হাসপাতালে বুধবার বিকেলে ভর্তির পর রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর থেকে তিনি ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। আজ তিনি মারা যান। করোনা নয়, ভুল চিকিৎসায় তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাকসুদা খানম বলেন, ‘ওই গৃহবধূর সার্জারি হয়েছিল। তিনি করোনাতেই মারা গেছেন, তা নয়। যেহেতু করোনা সিজন, সে জন্য তাঁকে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আইসোলেশনে নেন। খবর পেয়ে আমাদের লোকজন তাঁর শরীরের নমুনা সংগ্রহ করেন, যা পরীক্ষার পর জানা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না।’

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, কর্তৃপক্ষ যদি নিরাপত্তার স্বার্থে করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে মরদেহ হস্তান্তর করে, তাতেই ভালো হয়। কারণ, করোনা শনাক্ত না হলে একভাবে আর শনাক্ত হলে অন্যভাবে মরদেহ দাফন হয়ে থাকে।