টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী নিহত: বিজিবি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম জাফর আলম ওরফে গফুর আলম (৩০)। তিনি উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
বিজিবির দাবি, নিহত ব্যক্তি একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। ঘটনাস্থল থেকে ২ লাখ ইয়াবা, দেশীয় তৈরি একটি বন্দুক, একটি কার্তুজের খালি খোসা ও একটি লম্বা কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ–২ বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, মিয়ানমার থেকে শাহপরীর দ্বীপ দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবার চালান আসছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি টহল জোরদার করে। রাতে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা দিয়ে তিন–চারজন চোরাকারবারি একটি নৌকা নিয়ে ঘোলারচর এলাকায় ঢুকে পড়ে। বিজিবির সদস্যরা তাদের থামার সংকেত দেন। তখন নৌকা থেকে লাফিয়ে তাঁরা পালানোর চেষ্টা করেন। বিজিবি সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে চোরাকারবারিরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হন। পরে আত্মরক্ষার্থে বিজিবি গুলি চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে তিন থেকে চার মিনিট গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পাওয়া যায়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি ও বিজিবির দুই সদস্যকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রণয় রুদ্র প্রথম আলোকে বলেন, রাতে বিজিবি তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এর মধ্যে সাধারণ পোশাকে থাকা ব্যক্তির শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন ছিল। গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর বিজিবির দুই সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর জাফর আলম ওরফে গফুর আলমকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২০১৮ সালের ৪ মে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় চার নারীসহ কক্সবাজারে ২৩১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই নারীসহ ৭৯ জন রোহিঙ্গা।