বরিশালে করোনা ইউনিটে এক যুবকের মৃত্যু

প্রতীকী  ছবি
প্রতীকী ছবি

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শনিবার রাতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে এই হাসপাতালে আসেন। রোববার সকাল পৌনে আটটার দিকে তিনি মারা যান। হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ওই যুবককে শনিবার রাত নয়টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। জরুরি বিভাগে দেখানোর পর উপসর্গ দেখে তাঁকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল পৌনে আটটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। লাশ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী দাফন হবে।

মারা যাওয়া যুবকের ছোট ভাই প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাই ভ্যান চালক ছিলেন। তিনি গত ৪-৫ বছরে ঢাকা বা অন্য কোথাও ভ্রমণ করেননি। সপ্তাহখানেক আগে তাঁর শরীরে ব্যথা শুরু হয়। এরপর বাড়িতেই চিকিৎসা নেন। শনিবার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাঁকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রাতে তাঁকে বরিশালে নিয়ে যান তাঁরা।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বরিশালে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৯ এপ্রিল। এরপর শনিবার পর্যন্ত ১০ দিনে ভোলা বাদে বিভাগের পাঁচ জেলায় শনাক্ত হয়েছেন মোট ৪০ জন। এর মধ্যে বরিশালের ২০ জন, বরগুনার ১০ জন, পটুয়াখালীর ২ জন, পিরোজপুরের ৪ জন ও ঝালকাঠির ৪ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বরগুনার ২ জন এবং বরিশাল ও পটুয়াখালীর একজন করে মারা গেছেন। বরিশালের আক্রান্ত ২০ জনের মধ্যে পাঁচজন চিকিৎসক, একজন মেডিকেল কলেজের ছাত্র, দুজন নার্স ও দুজন স্বাস্থ্যকর্মী।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এখন ২০ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক রোগীর মৃত্যু হয়। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার দুপুরে ৭২ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ এখানে ভর্তি হন। তাঁর বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যান এক নারী (৪২)। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায়। তিনি শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর নমুনা সংগ্রহ হলেও এখনো পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।