পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী

পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যের গুলিতে শিমোন রায় (১৬) নামে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার বিকেলে সদর উপজেলার শিংরোড-প্রধানপাড়া সীমান্তে ৭৬২ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিমোন রায় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের প্রধানপাড়া এলাকার পরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে। সে পঞ্চগড় সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আহত শিমোন রায়ের বাবা পরেশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘ছেলেসহ আমরা কয়েকজন পাট খেতে সুতার নেট দিয়ে বেড়া দিচ্ছিলাম। পাট খেত থেকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া প্রায় দেড় শ গজ দুরে। ঘটনার সময় আমার ছেলে আমার কাছ থেকে ২০-২৫ হাত দুরে কাজ করছিল। এ সময় একটি বাঁশের কঞ্চি ভেঙে হাতে নিয়ে একজন ভারতীয় তরুণ বিএসএফ সদস্য আমাদের দিকে এগিয়ে আসেন। দুর থেকে বকাবকি করতে থাকেন। কাছে এসে আমার ছেলের সঙ্গে কথাকাটাকাটিতে লিপ্ত হন। একপর্যায়ে ওই বিএসএফ সদস্য আমার ছেলের পেটে বন্দুক ধরে গুলি করেন। এ সময় আমাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। তখন ওই বিএসএফ সদস্য পালিয়ে যান।’ গুলি করার সময় ওই বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলে এসেছিলেন বলে দাবি করেন পরেশ চন্দ্র।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ছেলেটির পেটের সামনে দিয়ে একটি গুলি ঢুকে পিঠের পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে। এতে তার কিছু নাড়ি-ভুঁড়িও বের হয়ে গেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল মো. মামুনুল হক বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হবে।’ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকাগুলোতে ভারতের কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ জানান তিনি।