মাদারীপুরে ২১০ কেজি সরকারি চাল জব্দ

মাদারীপুরে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭ বস্তায় ২১০ কেজি চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

আজ রোববার বেলা ১টার দিকে সদর উপজেলার কুনিয়া এলাকার গুচ্ছগ্রাম থেকে এই চাল জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানায়, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ লেখা চাল মজুত রয়েছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুনিয়া এলাকার মান্নান ব্যাপারীর বাড়িতে অভিযান চালায় সদর মডেল থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান মান্নান। পরে সেখান থেকে সরকারের খাদ্য অধিদপ্তরের সাত বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুনিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান অমিত হোসেন কবিরের ব্যক্তিগত ভ্যানের চালক মান্নান। তাঁকে দিয়ে চেয়ারম্যান পরিষদের চাল আনা–নেওয়া করেন। কুনিয়া এলাকায় আরও সরকারি চাল মজুত আছে। এ চাল অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ না করে চেয়ারম্যান তাঁর ব্যক্তিগত লোকজনের মধ্যে বিতরণ করছে।’

ইউপি চেয়ারম্যান অমিত হোসেন বলেন, ‘যে চাল উদ্ধার করা হয়েছে, তা ভিজিডির। আমার ইউনিয়নের কার্ডধারীরা এ চাল পেয়ে থাকেন। যাঁর বাড়ি থেকে আজ চাল উদ্ধার করা হয়েছে, তিনি ভ্যানচালক মান্নান। তাঁরও কার্ড আছে। সে করোনার আগে ওই কার্ডে তিন বস্তা চাল পেয়েছে। এ ছাড়া সে গরিব বলে তাকে অনেকেই সহায়তা করে। মান্নান আমার কোনো ব্যক্তিগত লোক নয়।’

পুলিশ দেখে পালানোর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মান্নান ভয়ে তাঁর বাড়ি থেকে পালিয়েছে। তবে আমরা সঙ্গে মান্নানের কথা হয়েছে। মান্নান তার কার্ড নিয়ে থানায় যাবে।’

চেয়ারম্যান বলেন, ‘করোনার সময় জিআর ৬ হাজার ৮০০ কেজি চাল পেয়েছি, যা শতভাগ নিয়ম মেনে বিতরণ করা হচ্ছে। আজও (রোববার) ৪ হাজার কেজি চালের বরাদ্দ পেয়েছি। আমার এলাকায় কেউ না খেয়ে সংকটে থাকবে না।’

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল ছিল। আমরা মোট সাত বস্তা চাল জব্দ করেছি। মান্নানকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’